"শেখ মুজিব আমার পিতা" নামটিতেই এক গর্ব কাজ করে,এই গর্ব আমাদের দেশের গর্ব,আমাদের সাধারণ মানুষের গর্ব। এই রচনায় উঠে এসেছে শেখ পরিবারের অনেক অজানা তথ্য,একটি পরিবারের বেঁচে থাকার ইতিহাস আর দেশের অভ্যুদয়ের মুহূর্তে পরিবারটির অজস্র সংগ্রামের ঘটনা। এই বইটির ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।তিনি তাঁর ভূমিকায় বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার সময় থেকে চার নেতার হত্যাকান্ড এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বর্তমানে তাঁর লেখিকা পরিচিতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়েছেন।যা বইটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এছাড়াও এই বইতে পার্থ ঘোষের একটি নাতিদীর্ঘ প্রস্তাবনা আছে যা বইটি পড়ার সময় ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপট জানতে সহায়ক হবে। বইটি চারটি মূল অধ্যায়ে বিভক্ত হলেও এর ভেতর প্রতি অধ্যায়ে তিনটি করে অনুচ্ছেদ আছে।প্রথম দুই অধ্যায়ে পারিবারিক স্মৃতি থাকলেও তৃতীয় অধ্যায়ে লেখিকা ড.আবদুল মতিন চৌধুরী,বেগম জাহানারা ইমাম এবং নূর হোসেনকে নিয়ে স্মরণ-শ্রদ্ধার্ঘ্য দিয়েছেন। প্রথম অধ্যায়ে লেখিকার কলমে উঠে এসেছে তাঁর পিতার ছেলেবেলা থেকে শুরু করে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ঘটনাবলী।বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে টুকরো টুকরো করে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল রাজনৈতিক সময়ের কথা বলা আছে যা আমাদের গর্বিত করে তোলে। এই বইতে লেখিকা তাঁর ছোটবেলার মজাদার সময় কাটানোর কথা বর্ণনা করেছেন।প্রধানমন্ত্রীর শৈশব কালের দস্যিপনার কথা পড়লে মন ভরে যেতে বাধ্য।